শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

Somoy Channel
মঙ্গলবার ● ২৮ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » রাজশাহী » জয়পুরহাটে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে হত্যা মামলায় পিতা-পুত্রসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন
প্রথম পাতা » রাজশাহী » জয়পুরহাটে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে হত্যা মামলায় পিতা-পুত্রসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন
১৮৬ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২৮ মে ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

জয়পুরহাটে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে হত্যা মামলায় পিতা-পুত্রসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন

মোফাজ্জল হোসেন, জয়পুরহাট:

জয়পুরহাটে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে হত্যা মামলায় পিতা-পুত্রসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন

জয়পুরহাটের কালাইয়ে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষক সাইদুল হত্যা মামলায় পিতা-পুত্রসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট আদালতের সরকারি এপিপি আবু নাছিম মো: শামীমুল ইমাম শামীম।

জয়পুরহাটে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে হত্যা মামলায় পিতা-পুত্রসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন-2

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কালাই উপজেলার আওড়া কালিমোহর গ্রামের মৃত তফিজ উদ্দীনের ছেলে জয়নাল মন্ডল, মোজাম্মেল হক ও মোফাজ্জল হোসেন, মোফাজ্জলের ছেলে মোস্তফা ও মোসফর আলী, মোজাম্মেলের ছেলে মাহফুজার ও মাসুদ, বাদশার ছেলে মামুনুর রশীদ, মৃত লসির উদ্দীনের ছেলে সামসুদ্দিন ও আলমগীরের ছেলে বেলাল।

জয়পুরহাটে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে হত্যা মামলায় পিতা-পুত্রসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন-3

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৫ জুলাই বিকেলে কালাই উপজেলার আওড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের পৈত্রিক দখলীয় সম্পত্তিতে আসামীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাটি কেটে তাদের অন্য জমি ভরাট করছিল। তখন সামাদের দুই ছেলে সাইদুল ইসলাম ও শরীফুল ইসলাম তাদের বাঁধা দিলে আসামীরা সাইদুল ও শরীফুলকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালাই হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ জুলাই সাইদুল ইসলামের মৃত্যু হয় । এ ঘটনায় নিহতের পিতা আ: সামাদ বাদী হয়ে কালাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত বিম্বজিৎ বর্মন ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। পরবর্তী ২২ জন স্বাক্ষীর সাক্ষতে আজ এ রায় দেন।

মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবু নাছের মো: শামীমুল ইমাম শামীম। আর আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন কাজী রাব্বিউল হাসান মোনেম।



বিষয়: #  #  #  #  #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)