শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Somoy Channel
সোমবার ● ২৭ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ঘূর্ণিঝড় রেমাল: উপকূলের দেড় কোটি পরিবার বিদ্যুৎহীন
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ঘূর্ণিঝড় রেমাল: উপকূলের দেড় কোটি পরিবার বিদ্যুৎহীন
৯৯ বার পঠিত
সোমবার ● ২৭ মে ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: উপকূলের দেড় কোটি পরিবার বিদ্যুৎহীন

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: উপকূলের দেড় কোটি পরিবার বিদ্যুৎহীনপুরো রাতজুড়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। মধ্যরাতে ঝড়ের সাথে জলোচ্ছ্বাসে তলিয়েছে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুরের বেশ বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ভেঙ্গেছে গাছ পালা, বাড়িঘর, বেড়িবাঁধ। দক্ষিণ অঞ্চলের অনেক মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।

এর মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দেশের উপকূলীয় এলাকার ১ কোটি ৫৫ লাখ গ্রাহকের সংযোগ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। ফলে অনেক এলাকায় ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। কখন ঘূর্ণিঝড় রেমাল দুর্বল হবে এবং কখন বিদ্যুৎ সংযোগ পাবেন সেই অপেক্ষায় গ্রাহকরা।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) পরিচালক (কারিগরি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে দুর্ঘটনা এড়াতে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১ কোটি ৫৫ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডব কমে যাওয়ার পর দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করে দিতে আমাদের কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এলাকায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে এর পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (প্ল্যানিং অ্যান্ড অপারেশন) বিশ্বনাথ শিকদার বলেন, উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রচণ্ড ঝড় বয়ে যাওয়ায় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী ও বরিশাল জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধিকাংশ গ্রাহকের সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। আরও কয়েকটি জেলায় আংশিকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে হয়ত দেড় কোটি গ্রাহক এখন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন।

পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা বলছেন, উপকূলীয় কয়েকটি জেলার সাগর তীরবর্তী উপজেলাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ারে তলিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের লাইন চালু থাকলে জানমালের ক্ষতি হতে পারে। আবার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেলে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে, যা মেরামত করতে অন্তত ৭ দিন সময় লাগবে। এসব দিক বিবেচনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে, বিদ্যুৎ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল বা অন্য কোনো কারণে বিচ্ছিন্ন বৈদ্যুতিক লাইন যাতে কেউ স্পর্শ না করে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা এবং ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার দেখলে দ্রুত নিকটবর্তী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) খুলনা এবং বরিশাল অঞ্চলে কোনো পদ খালি থাকলে দ্রুত একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করা, বিদ্যুৎ সংযোগ যথাসময়ে বিচ্ছিন্ন করা, খুলনা এবং বরিশাল অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে বাপবিবো ও ওজোপাডিকোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি প্রয়োজনে বাতিল করা, সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলো ঘূর্ণিঝড় রেমালের অভিঘাত থেকে রক্ষা করা এবং ঘূর্ণিঝড় রেমাল বিষয়ক কাজে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত জনবল প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও বিদ্যুৎ সংক্রান্ত যে কোনো প্রয়োজনে ১৬৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সেন্ট্রাল কন্ট্রোলরুমের নম্বর ০১৭৯২-৬২৩৪৬৭, ০২-৮৯০০৫৭৫, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বরিশাল অঞ্চলের ০১৭১৩-৮৫০২১৮, খুলনা অঞ্চলের ০১৭১৩-৮৫০২১১, পটুয়াখালী অঞ্চলের ০১৭১৩-৮৫০২১৯-এ নম্বরগুলো সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। তাছাড়া পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির প্রতিটি জেলায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।



বিষয়: #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)