মঙ্গলবার ● ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » সাহিত্য রম্যগল্প » ভালোবাসা এমনি হয়
ভালোবাসা এমনি হয়
ভাবী কে কিন্তু বিয়ের আগে অনেক হট সে*ক্সি লাগতো। ইকবালের বন্ধুরা ইকবালের স্ত্রী লুবনার অগোচরে কথাগুলো বলতে লাগলো। আবার কেউ কেউ বলেও ফেললো ভাবির বয়স টা মনে হয় ইকবাল ভাইয়ের চেয়ে বেশি।সবাই হো হো করে হেসে দিল।লুবনা দূর থেকে শুধু ইকবালের দিকে তাকিয়ে আছে।সে কোন কথা বলছেনা।বার বার কপালের ঘাম মুছছে।লুবনা নিজের রুমে গিয়ে আয়নার সামনে দাড়িয়ে বার বার নিজেকে দেখছে।চোখের নিচে কালিটা যেন প্রখর হয়ে আছে।ইকবাল বন্ধুদের বিদায় দিয়ে এসে লুবনাকে জিজ্ঞেস করলো কি বেপার তুমি আর গেলেনা ওখানে?
লুবনা কথা বলছেনা।
ইকবাল লুবনার গায়ে হাত রেখে বললো কি বেপার কি হলো?
লুবনা চেঁচিয়ে বলে দেখ আমায় টাচ করবিনা।তোর মতন ছেলেকে বিয়ে করাই আমার অপরাধ হয়েছে।
ইকবাল লুবনার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে বলে এসব এর মানে কি?তুই করে বলছো কেন?
লুবনা কেঁদেই যাচ্ছে।
ইকবাল রুম থেকে গিয়ে ওর মাকে বললো লুবনাকে কিছু বলেছো তুমি?
মা চেঁচিয়ে বলে উঠলো ওরে আমি কি বলবো?কি বলার আছে?সারাদিন রুম দিয়া বের হয়না।একটু কাজে হাত দেয়না।এর নাম বউ?না আছে চেহারা না আছে গুন।বার বার বলছি সমবয়সী মেয়েরে বিয়া করিস না।এরা স্বামীরে সম্মান দেয়না।আরে আমার মনে হয় ওর বাচ্চা হবার ক্ষমতাও নাই।
ইকবাল মায়ের উপর রাগ দেখিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেল।
ইকবালের মা তখন ও লুবনাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলছে এমন হলে ছেলে আমার ঘর ছাড়া হয়ে যাবে।আমার এতো সুন্দর ছেলের কপালে ওমন বউ ছিল?আমার স্বামী সারাদিন কাজ করে এসে ঘরে এসে শান্তি পাইতো আমারে দেখে।আর আমার ছেলের কপালে সে শান্তিও নাই।
লুবনা দরজার আড়ালে দাড়িয়ে বলে ছেলেরে সুন্দরী দেখে বিয়ে দিলেই পারেন।
শাশুড়ি উঠেই বলে আমার ছেলের মাথা কি আর সুস্থ রাখছো?সে তো তুমি ছাড়া কিছু বুঝেনা।মাথা চিবায়া খাইয়া ফেলছো।পারলে তুমি আমার ছেলেরে ছাইড়া যাও। তা তো যাইবানা খালি বড় বড় কথা।
লুবনা বিছানায় শুয়ে কাঁদছে। জীবনে ক্ষমতা অর্জন করা যায় কিন্তু চেহারা যেটা চাইলেই পরিবর্তন করা যায়না। রাতে না খেয়েই ঘুমিয়ে পরলো।হঠাৎ ইকবালের আসার শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙে যায়। ইকবাল ফ্রেস হয়েই লুবনার পাশে এসে শুয়ে পরলো।গা থেকে সিগারেট এর গন্ধ আসছে।লুবনা টের পাচ্ছে খুব।বিয়ের আগে অনেক কষ্টে এ অভ্যাস ছাড়িয়েছিল লুবনা।ইকবাল আবার সেই সিগারেট হাতে নিয়েছে।নিবে নাই বা কেন?একসময় যাকে ভালোবেসে সিগারেট ছেড়েছিল আজ তাকে যে আর ভালোলাগছেনা এই ভেবে লুবনা ফুঁপিয়ে কাঁদছে।
ইকবাল চোখ বন্ধ করতেই লুবনা ফোন নিয়ে বারান্দায় গেল।ইকবাল ঘুমায় নি সে খুব ভালো করেই জানে।বিয়ের পর ঘরে এক দন্ড শান্তি নেই যেখানে সেখানে ঘুম আসবে কি করে।
ফোন কানে নিয়ে লুবনা বললো আসলে ইকবালের সাথে আমি সুখী নই।ও আমাকে কোন সুখ দিতে পারেনি আর পারবেও না।প্লিস আমায় তুমি নিয়ে যাও।
ইকবাল এর মাঝেই পিছনে এসে বলে কাকে বলছো?
লুবনা ফোনটা রেখে দিয়ে বলে কাকে আবার?আমার কাজিন কে চিনতে না?যে আমায় বিয়ে করার জন্য পাগল ছিল আমি তাকে কল দিয়েছি।
ইকবাল লুবনার হাত ধরে বলছে লুবু কি বলছো?আমার উপর কিসের রাগ তোমার?সেই ৭বছর থেকে তুমি আমায় চিনো আমি কখনো কি তোমায় ঠকিয়েছি?
লুবনা হাত ছিটকে রুমের ভিতরে গিয়ে বলে সে সময় আর এখন আলাদা।আমার আর তোমায় ভালোলাগেনা ইকবাল।অসহ্য লাগে তোমাকে।আমি নতুন ভাবে শুরু করবো সব।
ইকবাল হেসে লুবনাকে কাছে টেনে বলে পাগলি অভিনয় করছো?আমি জানি আমি ছাড়া তোমার ঠিকানা আর কোথাও নেই তুমি আমায় ছাড়া ভাবতেই পারোনা।মায়ের উপর রাগ তোমার?সব ঠিক হয়ে যাবে।
লুবনা ফোন টা হাতে নিয়ে কাজিন মুন্নাকে কল দিয়ে বললো আচ্ছা তুমি ইকবাল কে একটু সত্যিটা বলে দেও আমাদের সম্পর্কের কথা।
ইকবাল থ হয়ে তাকিয়ে আছে।
ওপাশ থেকে মুন্না বলছে কি আর বলবো।তুমি আমায় ভালোবাসো।আর পরের মাসে ওকে ডিভোর্স দেয়ার পর আমরা বিয়ে করছি।আচ্ছা ইকবালের কথা বাদ দেও।তুমি বলো বেনারসি কি কালার কিনবো নীল নাকি লাল?
ইকবাল হাত থেকে ফোনটা কেড়ে নিয়ে মেঝেতে ফেলে দিয়ে বললো আমার কাছ থেকে একবার যাবার চেষ্টা করে দেখ আগে তোকে খুন করবো তারপর নিজে আত্মহত্যা করবো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত
বিষয়: #এমনি #গল্প #ভালোবাসা #হয়






#গল্প: দীর্ঘশ্বাস…
গল্পঃ_অনন্য জুনানী
প্রাইভেট পড়ানো
অভিমানে তুমি-গল্পের শেষ লাইন
পার্থক্য
“দাদী বলতো”
#তোমায়_হলো_পাওয়া
আমার অতীত
গল্প #মুগ্ধতা
বন্ধুর বউ 